ব্যতিক্রমী এক ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল। এই বছর দিনটি এমন সময়ে পালিত হবে, যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সারা বিশ্বই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশেও একদিকে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, তার মধ্যেই ঝুঁকি নিয়েও অসংখ্য মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামের পথে ছুটছেন। সাধারণ ছুটি অব্যাহত থাকলেও সরকারি কড়াকড়ি বেশ শিথিল করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে পালিত হতে যাচ্ছে এবারের ঈদুল ফিতর।
গত কয়েকদিন ধরেই নানা দোকানপাট খুলে যাওয়ার পাশাপাশি সড়কেও ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। যদিও গণপরিবহন এখনো বন্ধ রয়েছে, কিন্তু প্রাইভেট কারে, পিকআপ বা অটোতে করে নানা ভোগান্তির ভেতর দিয়ে অসংখ্য মানুষ তাদের গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন।
এদের একজন ফজুল মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''সেহরি খেয়ে ভোর চারটার দিকে রওনা দিয়েছি ইউসুফ মার্কেট থেকে। সেখান থেকে একটা অটোতে করে এসেছি বাইপাইল। ওখান থেকে নবীনগর। সেখানে পুলিশের একটু কড়াকড়ি ছিল। সেখান থেকে ১০/১৫ মিনিট হেঁটে সামনে পার হয়ে আবার অটো, তাতে করে এলাম কালামপুর। সেখান থেকে খানিকটা হেঁটে, আরেকটা অটো নিয়ে এসেছি মানিকগঞ্জ। সেখান থেকে আবার আরেকটা অটো নিয়ে ঘাটে আইছি।''
গণপরিবহন না থাকায় তার মতো আরো অনেকেই এভাবে বাড়ি যাচ্ছেন।
অনেকে নিজের বা ভাড়া করা প্রাইভেট কারে করে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন। সড়ক-মহাসড়কগুলোয় অসংখ্য প্রাইভেট কার চলতে দেখা গেছে।
গণপরিবহন না থাকলেও কষ্টসাধ্য উপায়ে অসংখ্য মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন
সাধারণত প্রতিবছর ঈদের আগে আগে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী প্রধান দুই ফেরিতে যানজট লেগে যায়। এবার নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় গত কয়েকদিন দেখা গেছে উপচে পড়া মানুষের ভিড়।
তবে রবিবার ভিড় খানিকটা কমেছে বলে জানাচ্ছেন পাটুলিয়া ফেরি ঘাটের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন রাসেল।
তিনি বলছেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ ভিড় নেই, একদম ফাঁকা। মানুষজনও কম, গাড়িও কম। একেকটা ফেরিতে ৪০/৫০জন করে পার হচ্ছেন।
১০ মে থেকে দোকানপাট খুলে দেয়া হলেও, এবার ঈদে তেমন বিক্রিবাট্টা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সাধারণত ঈদের আগের রাত চাঁদ-রাত বলে এদিন দোকানপাটে কেনাকাটার ভিড় লেগে যায়। কিন্তু এবার সেরকম ভিড় কোথাও দেখা যায়নি।
ঈদ আয়োজনেও এসেছে পরিবর্তন। কোলাকুলি না করা, নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপনের মতো পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এবারই প্রথম দেশের কোন ঈদগায়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।
বাংলাদেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল। এই বছর দিনটি এমন সময়ে পালিত হবে, যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সারা বিশ্বই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশেও একদিকে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, তার মধ্যেই ঝুঁকি নিয়েও অসংখ্য মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামের পথে ছুটছেন। সাধারণ ছুটি অব্যাহত থাকলেও সরকারি কড়াকড়ি বেশ শিথিল করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে পালিত হতে যাচ্ছে এবারের ঈদুল ফিতর।
গত কয়েকদিন ধরেই নানা দোকানপাট খুলে যাওয়ার পাশাপাশি সড়কেও ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। যদিও গণপরিবহন এখনো বন্ধ রয়েছে, কিন্তু প্রাইভেট কারে, পিকআপ বা অটোতে করে নানা ভোগান্তির ভেতর দিয়ে অসংখ্য মানুষ তাদের গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন।
এদের একজন ফজুল মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''সেহরি খেয়ে ভোর চারটার দিকে রওনা দিয়েছি ইউসুফ মার্কেট থেকে। সেখান থেকে একটা অটোতে করে এসেছি বাইপাইল। ওখান থেকে নবীনগর। সেখানে পুলিশের একটু কড়াকড়ি ছিল। সেখান থেকে ১০/১৫ মিনিট হেঁটে সামনে পার হয়ে আবার অটো, তাতে করে এলাম কালামপুর। সেখান থেকে খানিকটা হেঁটে, আরেকটা অটো নিয়ে এসেছি মানিকগঞ্জ। সেখান থেকে আবার আরেকটা অটো নিয়ে ঘাটে আইছি।''
গণপরিবহন না থাকায় তার মতো আরো অনেকেই এভাবে বাড়ি যাচ্ছেন।
অনেকে নিজের বা ভাড়া করা প্রাইভেট কারে করে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন। সড়ক-মহাসড়কগুলোয় অসংখ্য প্রাইভেট কার চলতে দেখা গেছে।
গণপরিবহন না থাকলেও কষ্টসাধ্য উপায়ে অসংখ্য মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন
সাধারণত প্রতিবছর ঈদের আগে আগে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী প্রধান দুই ফেরিতে যানজট লেগে যায়। এবার নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় গত কয়েকদিন দেখা গেছে উপচে পড়া মানুষের ভিড়।
তবে রবিবার ভিড় খানিকটা কমেছে বলে জানাচ্ছেন পাটুলিয়া ফেরি ঘাটের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন রাসেল।
তিনি বলছেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ ভিড় নেই, একদম ফাঁকা। মানুষজনও কম, গাড়িও কম। একেকটা ফেরিতে ৪০/৫০জন করে পার হচ্ছেন।
১০ মে থেকে দোকানপাট খুলে দেয়া হলেও, এবার ঈদে তেমন বিক্রিবাট্টা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সাধারণত ঈদের আগের রাত চাঁদ-রাত বলে এদিন দোকানপাটে কেনাকাটার ভিড় লেগে যায়। কিন্তু এবার সেরকম ভিড় কোথাও দেখা যায়নি।
ঈদ আয়োজনেও এসেছে পরিবর্তন। কোলাকুলি না করা, নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপনের মতো পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এবারই প্রথম দেশের কোন ঈদগায়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।
Comments
Post a Comment